বিশেষ প্রয়োজনে যদি লিঙ্গোত্থানে দেরী হয়, বা অকালে বীর্যপাত হয়, এজন্য প্রায় পুরষই দীর্ঘ সময় মিলনের ট্যাবলেট সেবন করেন, কিন্তু অনেক পুরুষই জানেননা, কোন সেক্স ট্যাবলেট কি কাজ করে। ফার্মেসি ওয়ালা একটা হাতে ধরিয়ে দিলে তিনি সেটা নিয়ে সেবন করেন, আর সমস্যা অনুযায়ী কাজ না হলে, দোষারুপ করেন। আজকে জানিয়ে দেয়ার চেস্টা করবো, কোন ঔষধ কি কাজ করে।
দীর্ঘ সময় মিলনের ট্যাবলেট তালিকা:

নিশাত ট্যাবলেট:
নিশাত ট্যাবলেট,এটি শক্তিশালী কামোদ্দীপক ও যৌনশক্তি বর্ধক। ইহা যৌন উদ্দীপনা ও কাম ইচ্ছাশক্তি বৃদ্ধি করে, যৌন অঙ্গাদি শক্তিশালী করে অল্পসময়ে বীর্যপাত রোধ করে। যৌনশক্তি কয়েকগুণ বাড়িয়ে সঙ্গমকালকে দীর্ঘায়িত ও আনন্দদায়ক করে তোলে। এই ওষুধ দীপ্ত যৌবন ও সজীবতা আনয়ন করে।
নিশাত ট্যাবলেট ইউনানি ফর্মুলার একটি টাইমিং বৃদ্ধির ঔষধ। এর মধ্যে হলি নিশাত যখন হলি ড্রাগস যখন তৈরি করতো, তখন খুব জনপ্রিয় ছিল। এখন জানিনা এর কোয়ালিটি কেমন। হামদর্দ এর নিশাত লিবিডেক্স ট্যাবলেট, নেপলস এর ক্যাপ ভি এগুলোও মোটামুটি ভাল মানের নিশাত জাতীয় ঔষধ। তবে এগুলো সবই যতদিন খাবেন ততদিনই ফল পাবেন। অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন করলে কিছুটা সাইড এফেক্ট আছে। তবে নির্ধারিত মাত্রায় সেবনে তেমন কোন সাইড এফেক্ট হওয়ার প্রমান পাওয়া যায়নি।
সিলড্রেনাফিল: (দীর্ঘ সময় মিলনের ট্যাবলেট)
সিলড্রেনাফিল সাইট্রেড ২৫,৫০ ও ১০০ মিগ্রা টেবলেট পুরুষের লিঙ্গোত্থান জনিত সমস্যা ও দীর্ঘসময় সহবাসের জন্য সেবন করা হয়। অনেক কোম্পানির সিলড্রেনাফিল সাইট্রেড টেবলেট আছে। কয়েকটি ঔষধ ও প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি।
সিলাগ্রা ১০০ মিগ্রা, প্রস্তুতকারী ইনসেপ্টা ফার্মা। একমিগ্রা ২৫,৫০,১০০ মিগ্রা হলো একমি ল্যাব এর। একটিবা ৫০ ও ১০০ মিগ্রা হলো- পেসিফিক ফার্মা, তেমনি এডেগ্রা ৫০ ও ১০০ মিগ্রা এসিআই এর, একগ্রা হলো- এসকায়েফ এর তৈরী, চার্ম ৫০ ও ১০০ মিগ্রা ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল, ডেনাফিল – নিপ্রো জেএমআই, এনেগ্রা বেক্সিমকোর, এনজফিল হলো- নাভানা ফার্মার, ইরিক্টা তৈরী করেছে রেনেটা কোম্পানি, ফুলফিল পাবেন ওরিওন এর, ইমেনসি টেবলেটটি বায়োফার্মা বাজারজাত করেছে।
কে এক্স ৫০ ও ১০০ মিগ্রা টেবলেট বাজারে পাবেন কেমিকো ফার্মার, মেডিগ্রা হলো- মেডআরএক্স কোম্পানির, নায়াগ্রা কমদামে পাবেন ডেল্টার, নোভাগ্রা নামেও আছে আরেকটি নোভেল্টা বেস্টওয়ের। পেনাগ্রা কনকর্ড এর, পিক ট্যাবলেট জেনারেল ফার্মার, ভায়াগ্রা বাজারজাত করেছে এস্ট্রা বায়ো ফার্মা, এছাড়াও আরও অনেক কোম্পানির সিলড্রেনাফিল সাইট্রেড টেবলেট আছে।
টাডালাফিল: দীর্ঘ সময় মিলনের ট্যাবলেট
টাডালাফিল ৫,১০ও২০ মিগ্রা টেবলেট সাধারণত পুরুষদের লিঙ্গোত্থানজনিত সমস্যার জন্য দেয়া হয়। যাদের লিঙ্গ একেবারেই শক্ত হয়না, তাদের জন্য এই ট্যাবলেটটি রাতে ১ টা খেতে দেয়া হয়। কয়েকটি টাডালাফিল এর নাম ও কোম্পানির নামসহ লিখে দিলাম।
এডাফিল ১০ ও ২০ মিগ্রা টেবলেট বাজারাজাতকারী কোম্পানির নাম বেক্সিমকো তেমনিভাবে সেলেস্টা হলো জেনারেল এর, সিয়াফিল নাভানার সিয়ালিক্স নিপ্রো জেএমআই এর, সিয়াটন এসিআই, ডাইস্টাল এপেক্স এর, ইডিস্টা হলো ইউনিমেড ও ইউনিহেল্থ এর। কমদামে পাবেন ফিল নামক টেবলেট যা ডেল্টার তৈরী। এগুলো সব ৫, ১০ ও ২০ মিগ্রার হয়।
তাছাড়া, টাডা, মেগাফিল,পেনফিল, প্রলংগা, টিফিল, টাডাফিল, টাফিল ইত্যাদি নামেও ফার্ম্মেসীতে পাওয়া যায়। তবে এগুলো দীর্ঘদিন খাওয়া উচিত নয়। ডাক্তারের পরামর্শ ব্যাতিত খেলে অসুবিধা হতে পারে।
ডেপুক্সেটিন: (দীর্ঘ সময় মিলনের ট্যাবলেট)
ডেপুক্সেটিন ৩০ ও ৬০ মিগ্রা টেবলেট সাধারণত পুরুষদের অকাল বীর্যপাত রোধ করার জন্য দেয়া হয়, সাধারণত উত্থানজনিত কোন সমস্যা নাই, তবে ২ মিনিটের আগেই বীর্যপাত হয়ে যায়, তাদেরকেই দেয়া হয়। কয়েকটি ডেপুক্সেটিন টেবলেট এর নাম ও কোম্পানির নামসহ লিখে দিলাম।
ডেপুরেক্স- ৩০/৬০ মিগ্রা টেবলেট এর প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইউরো ফার্মা, তেমনি করে ডেপুটিন হলো বিকন এর ডেপুক্সেন অপশোনিন, ডেক্সিটিন এসিআই, ডিজেক – গ্লোব ফার্মার, ডেপোটিন ইনসেপ্টা, ডিউমেক্স এসকায়েফ, প্লেজার ডেল্টার, প্রোলং জিসকা ফার্মার, এরকম অনেক ব্র্যান্ড আছে বাংলাদেশ মার্কেটে।
ফ্লুক্সেটিন:
এটাও অকাল বীর্যপাত রোধ করার জন্য দেয়া হয়। তারমধ্যে মেডিপ্রান বেক্সিমকোর, নোডেপ ২০ জেনারেল ফার্মার, প্রোলার্ট স্কয়ারের, আরও অনেকেই আছে। তবে এগুলোর সাইড এফেক্ট বেশী। তাই সতর্কতার সঙ্গে সেবন করা উচিত।
পেরোক্সেটিন:
পেরোক্সেটিন ২০ মিগ্রা টেবলেটও অকাল বীর্যপাত রোধ করার জন্য দেয়া হয়।
এগুলোর মধ্যে মেলেড ২০ বেক্সিমকোর, অক্সাট ২০ স্কয়ার এর, পেনারিড ইনসেপ্টার, পেরোটিন এসিআই এর। খুব বেশী সাইড এফেক্ট থাকতে পারে তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া সেবন অনুচিত।
মুকাব্বি খাছ:
মুকাব্বি খাছ পুরুষের জন্য আদর্শ একটি ইউনানি ফর্মুলার সেক্সুয়াল ঔষধ। তবে অনেক কোম্পানি ইউনানি ফর্মুলার কথা লিখে বিভিন্ন এ্যালোপ্যাথিক মিক্স করে দেয়ায়, সেটা আর নিরাপদ থাকেনা। যেমন মুসলিম ফার্মাসিউটিক্যালসের একটি মুকাব্বি খাছ খেয়ে একজন রোগী এসে বলল, প্রায় ৩০ মিনিট পর্যন্ত সহবাস করার পরও তার বীর্যপাত হয়নি, কিন্তু মাথায় খুব যন্ত্রনাবোধ করেছিল। এতে বুঝা গেলো, মাত্রার চেয়ে বেশী পরিমান কেমিক্যাল মেশানো হতে পারে। এগুলো খুব সাবধানে ব্যবহার করা উচিৎ।
সঞ্জীবনী রসায়ন:
সেক্সের ঔষধ সঞ্জীবনী রসায়ন আয়ুর্বেদ চিকিৎসার আরেকটি সেইফ ঔষধ। পুরুষের টেষ্টোস্টেরন হরমোনের উন্নতিসহ, দ্রুতবীর্যপাতে দারুন উপকার করে থাকে। এপি, শক্তি ঔষধালয়, মোজাহের ঔষধালয়, সাধনা ঔষধালয়সহ বেশ কিছু আয়ুর্বেদিক ফার্মাসিউটিক্যালসের সঞ্জিবনী রসায়ন বাজারে প্রচলিত আছে। তবে এগুলো সাধারণ ফার্ম্মেসীতে পাওয়া যায়না। তাদের নির্দিষ্ট বিক্রয়কেন্দ্র থেকে কিনে আনতে হয়।
পাওয়ার ৩০ ক্যাপসুল:(দীর্ঘ সময় মিলনের ট্যাবলেট)
এসবি লাবরেটরীজ এর বাজারজাতকৃত দীর্ঘ সময় সহবাসের ঔষধের নাম পাওয়ার ৩০ ক্যাপসুল। তবে, বিভিন্ন অসাধু কোম্পানি এই ঔষধটি নকল করে বাজারে ছাড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসবি ল্যাব এর উৎপাদিত ঔষধটি অনেক ভাল একটি ঔষধ। তবে চিনে নেয়াটাই মুশকিল। এটাও হলি নিশাতের মতো মাথা ব্যথা হয়না। কিন্তু দাম হলি নিশাতের চেয়ে অনেক বেশী। হলি নিশাত ২০ টাকা প্রতি পিস হলেও পাওয়ার ৩০ ক্যাপসুল ৩০-৩৫ টাকা প্রতি পিস। অনেকে এগুলোর দাম ৫০ টাকাও রাখে, যদি কেনার সময় বক্সের গায়ের রেট দেখে কিনেন, তাহলে প্রতারনায় পড়া থেকে বেঁচে যাবেন।
দীর্ঘ সময় মিলনের নিরাপদ ঔষধ কোনটি?
ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক ফর্মুলার ঔষধ নিরাপদ বলেই বিবেচিত। তার মধ্যে হাব্বে নিশাত, আম্বর মুমিয়ায়ী, হাব্বে মুমসিক, ইত্যাদি জেনেরিক এর টেবলেট ও ক্যাপসুলগুলি নিরাপদ। তবে অনেকেই বলে থাকে এগুলো স্থায়ী চিকিৎসার জন্য নাকি সেবন করা হয়।
যৌন চিকিৎসকগন এ বিষয়ে একমত হয়েছেন যে, যৌন দূর্বলতা কোন রোগ নয়। এটা একটা ঘাটতিজনিত সমস্যা। তাই ঘাটতি দূর করতে পারলেই এই দূর্বলতা দূর হবে। এর জন্য প্রয়োজনমত জিংক, প্রোটিন,ও ক্যালসিয়াম দৈনন্দিন খাবারে যোগান থাকতে হবে।